স্বদেশ ডেস্ক:
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে বিয়ে করেছিলেন পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দার। অন্যদিকে, ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়ে বিয়ে সারেন ভারতীয় তরুণী নওমুসলিম ‘ফাতিমা’। দুই ঘটনার জেরে যখন তোলপাড় গোটা উপমহাদেশ। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এলো আরেক পাক-ভারত বিবাহবন্ধনের ঘটনা। ভারতীয় তরুণ আরবাজকে বিয়ে করলেন পাকিস্তানি তরুণী আমিনা।
গত বুধবার অনলাইনে বিয়ে সারেন এই যুগল। এলইডি স্ক্রিনে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখল দুই পরিবারের স্বজনেরা। ভারতে আসার ভিসা মেলেনি। কবে মিলবে ভিসা, কারো কাছে তার সদুত্তর নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভারচুয়ালি বিয়ে সারলেন ভারতীয় পাত্র ও পাকিস্তানি পাত্রী।
ভারতের যোধপুরের বাসিন্দা আরবাজ। তার সাথে পাকিস্তানের আমিনার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আবেদন জানানোর পরও ভিসা পাননি আমিনা। ফলে বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই অনলাইনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে বিয়ের আসর বসে। উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের কাজী। তারাই যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই পক্ষের স্বজন-বন্ধুরা।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? সদ্যবিবাহিত আরবাজ জানালেন, “বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক খুবই খারাপ। তাই আবেদন করলেও ভিসা পেতে কত দেরি হবে সেটা কেউই জানে না। তাই বাধ্য হয়েই অনলাইনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
জানা গেছে, দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। আরবাজের বেশ কয়েকজন আত্মীয় পাকিস্তানের বাসিন্দা। মূলত তাদের উদ্যোগেই এই বিয়ে ঠিক হয়েছে।
আরবাজের পরিবার জানায়, পাকিস্তানের মাটিতে বিয়ে হলে ভারতে সেই বিয়ে বৈধ হতো না। তবে অনলাইনে বিয়ের নিকাহনামা দেখিয়ে আবেদন করলে হয়তো তাড়াতাড়ি ভিসা মিলতে পারে, এমনটাই আশা করছেন আরবাজ। আপাতত সপরিবারে ভারতে আসবেন আমিনা, তাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে আরবাজের পরিবার। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন